Monday, April 21, 2014

ডাক পাড়ি

এক টুকরো ছোট্ট অনুভূতি মনের কোণা বেয়ে বেয়ে
একটা ছোট্ট আশায় পরিণত হল,
ছোট্ট আশার চারাগাছ বুকের মাঝে ঢেউ তুলল এক শান্ত চিন্তার ।
জন্ম নিল একটি কথাগাছে, কথাগাছের শব্দ-লতারা ডালপালা মেলে
বিস্তার করল ভাষার মধ্যে,
বুকের মাঝে কথার কথায় সোচ্চারিত হল কথাটি
বার বার অনুরনিত হল কথাদের প্রতিধ্বনি শব্দকণায়, গানের মালায় ।
আমি আবার আসব ফিরে কথায় কথায়, গানের সুরে,
যখন তুমি ডাকবে আমায় 
শুধু বিদায় বোলোনা, বিদায়ের কোনো চিহ্ন রেখো না |
দেখ পাল্টেছে সবকিছু, কিন্তু তাই বলে ভেবোনা আগে এমন ছিল না
শুধু চিনতে চেষ্টা করো বন্ধুদের
যখন জীবনযুদ্ধে নামবে তুমি
সুদূর অন্ধকার দিগন্তে একটি তারার আলোকে অনুসরণ করে
পথ চলো, পিছু নাও তার
আর ফিরে এসো তখন যখন শেষ হবে তোমার কাজ
শুধু বিদায় বলো না, বিদায়ের কোনো চিহ্ন রেখো না |
আর ঐ যে শুরুতে বলেছিলাম সেই টুকরো অনুভূতির কথা,
তারা হয়ত জানেনা যে আমি বুঝি
আর তারা বোঝেনা বলে ভেব না অমি বুঝি না
তোমার স্মৃতিকণাগুলি তীক্ষ্ণ হতে তীক্ষ্ণতর হোক শুধু চাই এইটুকু |
যতক্ষণ তারা তোমার চোখের সামনে এসে ধরা দেয়
তুমিও এসে ধরা দিও যখন তোমাকে ডাকবে তারা
শুধু বিদায় বলো না, বিদায়ের চিহ্ন মুছে দিও |

Wednesday, April 16, 2014

দোলদরিয়ার উত্তরে

সেই সকালের বসন্তে, ফাগ-ফাগুণের রং লাগল, শাল-পলাশের বনান্তে ।
জমজমাটি দোলপিঁড়ি, খঞ্জিরাতে কৃষ্ণরাধা, রং মিলানো গানসিঁড়ি ।
অবুঝ মনের সবুজ রং, ছোঁয়ালাগার টুসকি আবির, রংয়ের পরত জবর জং ।
সেই বিকেলের বসন্তে, শেষ ফাগুণের আগুণ লাগে, মন মহুয়ার দিগন্তে ।
গান মঞ্চ, মাদল নাচ, ঝুমুর গানে কোমর দোলে, আঁধার আলোয় হিয়ার আঁচ।
মঞ্চ ভাসে জ্যোত্স্নাতে, আলগা চটক বাউলানী, প্রেম যমুনার বন্যাতে ।
আউল-বাউল সন্ন্যেসী, একতারাতে বৃন্দগান, চাইল যে মন কমবেশী ।
ফুরিয়ে গেল দোল, উড়োপাতার তাসের ঘরের, বন্ধ দুয়ার খোল।


এইসময় ব্লগে প্রকাশিত