রূপসোনা বলি আমি তাকে, যদিও দৃষ্টিকটু ।
তিনটি মেয়ের একটি, যদিও ছেলে আছে দু'টি ।
ঠাম্মা ডাকত আদর করে সুভদ্দোরা,
দিদা মিলিয়ে দিয়েছিল যশোধরা।
শরীর জুড়ে তিল ছিল মেয়ের, তাই স্কুলের নাম তিলোত্তমা ।
মিষ্টি চেহারার জন্য দাদামশাই বলতেন মনোরমা ।
মায়ের জুটল রাঁধুনির কাজ, মোটের ওপর এতগুলো পেট,
এই বাজারে পোষায় কি আর ? বাবার যে বন্ধ জুটমিলের গেট।
পুঁটুরাণী সবচেয়ে সুন্দরী, নাকমাটা মাটা, চোখ হাসে তার,
গায়ের রং গম-পানা, মুখটি পানপাতার। বাবা দিল পাঠিয়ে ভিনরাজ্যে ।
প্রচুর টাকার বিনিময়ে, অভাবের তাড়নায়...
পুঁটু হল গিয়ে একালের দেবদাসী। ডাকনাম সবিতা ।
এবার শুরু মেয়ের জীবনে নতুন নাটক-কবিতা।
কোন্ এক বাবুর মন্দিরে সে নাচত-গাইত, ফুলের মত ঢলে পড়ত
কৃষ্ণসেবা দিনের বেলায়, রাতে লম্পট বাবুর বিছানায় ।
বাবু ডাকত কত্ত নামে। পুঁটুর কি আর নামের অভাব!
সেই ছোট্ট থেকে আদর ! মা-বাবা-ঠাম্মা-দিদার!
ডাগোরডোগর মেয়েটা এখন বাবুর আদরের মোনা
আমি বাপু তারে ডাকি আমার রূপসোনা।