Friday, February 4, 2022

মেয়েনদী

 কালোই হোক কিম্বা ধলো, নদী আসলে চিরনবীন  

সরস্বতী মেয়েটা আসলে বিদ্যেধরী বর্ণহীন। 

মেয়ের ছিল বড্ড দাপট, চুপিসাড়ে মারত ঝাপট।  

সামলে নিত রূপগুণ সব ক্রোধ ছিল তার বড়ই কপট। 

অপছন্দ পুরুষ সঙ্গ, একরোখা সে বড়োই জেদি 

আসলে সে ডরায় নি তো, ছিল যে সে প্রতিবাদী। 

এই মেয়েটাই সরস্বতী, দূরে রাখে পুরুষ সমাজ। 

শাসন, শোষণ, অত্যাচারে বিয়ের কথায় কেবল নারাজ।

একহাতে সে নাচিয়েছিল, তাবড় সব মুনিঋষি। 

অভিশাপে নদীশরীর রক্তধারার এলোকেশী। 

শোনপুণ্যা হয়েই আবার ফিরেছিল বারিধারা। 

বশিষ্ঠ কী বিশ্বামিত্র তঠস্থ তাই চক্ষেহারা। 

নদীটা আজ পথহারা, রইল মনে মেয়েটা তাই 

আজও বুঝি এই মেয়েকেই আঁচলা ভরে ফুল দিয়ে যাই। 

নদীর বুকে কান্না ছিল, আঁচল ভরা দুঃখ ছিল 

সরস্বতীই রইল মনে নদীটা আজ হারিয়ে গেল।