করোনাকালের শুরুতেই ছিল ফ্যানাভাত আলুপোস্ত
আর ছিল ফ্যানস্যুপ, ম্যাগি, চাউ, ছিলনা কেবলি গোস্ত।
ডালের সঙ্গে রোজরোজ আছে খসখসে খোসা স্টারফ্রাই
আলুভাতের ইনোভেশনে মনে বড় যেন বড় জোর পাই।
পিঁয়াজ আর শশা লঙ্কা কুচিয়ে স্যালাড আর দই রায়তা
একটু আধটু জিভের টাকনা মন্দ লাগেনা ভাতটা।
পরে এলো ঘরে শাক সুক্তুনি ঝাল ঝোল আর অম্বল
পটল বেগুণে দই ঘেঁটে দিই যদি থাকে টক দম্বল।
খিচুড়ি বেগুনি চালেডালে মিশে করোনার দিন থইথই
রাতেরবেলায় দিব্য চলেছে খই কলা আর টক দই।
সুফলবাংলা রাঙা আলু দিল বানালাম পান্তুয়া
সুজি দুধ গুলে বানাতেই পারো চটপট মালপুয়া।
বাঙালির নুচি, অগতির গতি উপোসের রাতে যদি চাও
ছাতুর পরোটা গুড ফর হেলথ, ময়ানটা যদি কম দাও।
সুজির হালুয়া, ফ্রুট কাস্টারড, পুডিং আর ছিল পায়েস
এত জানি তাই বাইরে কিনিনি খেয়ে করে গেছি আয়েস।
ময়দা ভিজিয়ে, চালগুঁড়ো দিয়ে জিলিপিও ভেজে খাসা
সাধ ছিল যেন মুচমুচে হয় রসে ফেলবার আশা।
দুদিন দুধ কেটে গেল দেখে কাটিয়ে ফেলেছি ছানা
জাঁক দিয়ে তাকে কালাকান্দ করে তাক লাগিয়েছি যা না!
তাই দেখে তিনি রোজই বলেন দুধ যেন কেটে যায়
মিষ্টি বিহনে রাতের খানা খেতে মন নাই চায়।
বেসন আর সুজি টক দই ইনো ফ্রুটসল্টের ধোকলা
কারিপাতা আর সরষে ফোড়নে খেয়ে নেবে সব ফোকলা।
গোলারুটি ছিল ভারি মজাদার ছড়িয়ে পেঁয়াজ কুচি
খাটুনি হয়েছে যেদিন ভেজেছি বেগুন আর কটা লুচি।
শেষপাতে ভাই শাশুড়ির চাই টকমিষ্টি চাটনি
চাটনি বানানো সবচেয়ে সোজা একটুও নেই খাটনি।
কুড়োনো আমের পাল্পে ঢেলেছি চিনি আর শুধু চিনি
শিশি ভরে জ্যাম বানিয়ে ফেলেছি আর যেন নাই কিনি।
ঝড়ে পড়া মোচা পেয়েছি ফোকটে, চিংড়ি দিয়েছে বাদাবন
মোচাচিংড়ির এমন সোয়াদ পায়নি বাড়ির লোকজন।
কেউ শুনছি লকডাউনেই বানিয়েছে বিরিয়ানি।
শুনেই কেন যে কান্না এসেছে এখনও বুঝতে পারিনি।
সাবেকী রান্নাঘরেতে রয়েছে বাটি চচ্চড়ি ডানলা
স্বাদে ও গন্ধে আমোদিত তারা ফোড়নেই মাত জানলা।