রোজকার মতন দরজার কোণায় মুখ চুন করে দাঁড়িয়ে থাকে লীলা। মুখে রা'টি কাড়ে না। গৃহকর্ত্রী পল্লবী চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে থেমে একসময় ক্লান্ত হয়ে যান। এই সময়টায় তাঁর অফিস যাবার তাড়া। যদিও একটু দেরীতে বেরোন তবুও এ হল অপ্সরা আবাসনের দু' নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে, চারতলার তিননম্বর ফ্ল্যাটের রোজনামচা। পল্লবীর অফিসের দেরী হয়ে যায়। লীলা কে কাজ বুঝিয়ে তবে চান সেরে খেয়েদেয়ে তাঁর বেরুনো। পুরনো লোক লীলা। তবুও রোজ কিছু না কিছু বলার থাকেই। আজ সিল্কের শাড়িটা ইজিতে ভিজিও কিম্বা দাদার শার্টে নীল দিও।কালকের জন্য পোস্ত টা বেটে ফ্রিজে তুলে রেখো অথবা মায়ের ফলটা চাপা দেওয়া আছে। মনে করে হাতে ধরিয়ে দিও এমন সব কেজো কথা।
তার আগে পল্লবীর অশোক কে টিফিন করে দেওয়া। আগেরদিনের লাঞ্চবক্স অধিকাংশ দিন পল্লবী কিম্বা অশোক কেই ধুয়ে নিতে হয়। এই নিয়ে অশোকের সঙ্গে বচসা হয়। সেটা আগেভাগে এসে লীলার ধোয়ার কথা। পল্লবীরা রান্নার লোক রাখেনা। লীলা পরের দিনের টা সব কেটে কুটে ধুয়ে, মশলা বেটে রেখে দিয়ে যায়। পল্লবী সকালে রেঁধে বেড়ে গুছিয়ে রেখে অফিস যায়।
- কতবার বলেছি, আরেকটা লাঞ্চবক্স অনলাইন কিনে ফেল।
- রাখব কোথায় এত জিনিষ? ফ্ল্যাটবাড়িতে সীমিত জায়গায় আর অনলাইন জঞ্জাল বাড়িও না।
- অফিস যাওয়ার আগে রোজরোজ এই লীলার আসার দেরী নিয়ে আমারো খিটিমিটি শুনতে ভালো লাগেনা। কোথায় আরাম করে ব্রেকফাস্ট খাব কাগজ পড়তে পড়তে তা নয়, রোজ একেবারে চিল চীত্কার করতে থাকো।
পল্লবী বলে ওঠে, আমার বেরুনোর আগে ওকে সব বুঝিয়ে না গেলে পারবেন মা? ওকে ডিল করতে?
- বোর্ডে লিখে রেখে যাও তবে। অশোক বলে।
- অত পারব না সকালবেলায়। লীলারই বা এত জেদ কিসের্? আমরা কি মাইনে কম দি? কেনই বা সে আসবে না টাইম মত?
- জানোই তো, কবরডাঙার রাস্তার কি অবস্থা। আমি তো রোজ যাই ঐ পথে।
- তাহলে? আমি কি করব বলতে পারো অশোক?
-তবে এমনি চলবে নিত্যি ঝগড়া? লীলাও কাজ ছাড়বে না, টাইম মত আসবেও না আর তুমিও চেঁচিয়ে যাবে এভাবে? অন্য লোক দেখে লীলাকে তবে স্যাক কর ইমিডিয়েটলি।
- বিশ্বস্ত লোক পাওয়া মুশকিল বুঝলে? আমরা থাকিনা সারাদিন। মা কিছুই পারেন না। নিজের ঘরে ঢুকে শামুকের মত গুটিয়ে রাখেন নিজেকে। কতবার বলেছি, একটু বাইরের ঘরে বসে লীলাকে চালনা করলেও তো হয়। উনি পারবেন না। বিশ্বযুদ্ধ থেকে দেশীয় রাজনীতির খবরে ডুবে থাকেন যে কি এত বুঝিনা বাপু। সারাটা জীবন এভাবেই কারোর কাছ থেকে কোনো হেল্প পেলাম না। চাকরিটা যে কিভাবে টিকিয়ে রেখেছি আমিই জানি শুধু।
অশোক আর কথা বাড়ায় না। পল্লবী নিজের কোর্টে বলটা নিয়ে চানঘরের দিকে পা বাড়ায়।
লীলা কাজ শুরু করবে কি, রোজ এই সময়ে তার ফোন আসে।
ঘরে পা দিতে না দিতেই তার ব্যাগের মধ্যে রাখা মোবাইল টা বেজে ওঠে। চার্চের প্রার্থনা সঙ্গীত। অর্গ্যান, পাইপ, বেল সমন্বিত গুরু গম্ভীর রিং টোন। সচারচর শোনা যায়না এমন গান। পল্লবীর মাথাটা রোজ গরম হয়ে যায় এটা শুনলে। এত দেরী করে এসে আবার ফোন বাজে কেন গো তোমার? লীলা কোনো উত্তর দেয়না।
আরেকদিন পল্লবী বলেছিল এই সুরটা অসহ্য। হাটাও তো ছেলে কে বলে।
তখন লীলা বলেছিল। এই দেখোনা, গ্রামের ঘর ঘর লোকের মোবাইলের রিং টোন ওরা সেদিন এসে সব বদলে দিয়ে গেছে। কার ছিল মা মনসার গান, কার ছিল হরেকেষ্ট কেত্তন একধার থেকে সেই সাহেবগুলো এসে বদল করে চার্চের ঘন্টা আর ওদের সব গান করে দিয়ে গেল।
ততক্ষণে লীলা মুখে কুলুপ এঁটে কাজে মন দেয়। লীলার সংসারে তার দোজবরে স্বামী। প্রতিরাতে মদ চাইই তার। তারপর হাতের পাঁচ সাট্টা কিম্বা জুয়ার নেশা। সেই কবে জানি লীলার শ্বশুরদের ক্রীশ্চান করে গেছিল অষ্ট্রেলিয়ার সাহেবরা এসে। তা বেশ বহু বছর আগের কথা। ওদের অভাবের গ্রামে সবাই ছিল খুব গরীব। সাহেবগুলো এসে পাখীপড়া করে বুঝিয়ে বুঝিয়ে একদিন গ্রামশুদ্ধ বেশ কয়েকঘর পরিবার কে যীশুর বাণী শুনিয়ে ধর্মান্তরিত করেই একপ্রকার ছেড়েছিল। হাতে বাইবেল ধরিয়ে দিয়ে ওরা বলেছিল কাজ দেবে। ছেলেপুলেদের ইংরেজী মিডিয়াম ইশকুলে ফ্রি তে পড়ার সুযোগ করে দেবে।
পল্লবীর শাশুড়ি সেই শুনে বলেছিলেন, কাজ দিয়েছিল তোদের?
কি জানি? আমার শ্বশুর ওদের গির্জায় মালীর কাজ করত শুনেছি। গ্রামের বাচ্ছাগুলোকে ইংরেজী ইশকুলে ভর্তি টা এখনও করে দেয় অবিশ্যি, সেটা চোখের সামনে দেখা। রুটি বেলতে বেলতে বলেছিল লীলা। আমার নাতিটাও পড়ে ইংরেজী ইশকুলে।
সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোত আমাদের গ্রামের সবার। একদিন কুড়িহাজার টাকার ফাঁদে ফেলে নিজেদের ধম্মো গছিয়ে দিয়ে তবে সহেবগুলোর শান্তি হল।
তারপর? চাকরী?
লীলা বলেছিল, চাকরীবাকরী কি গাছে ফলে মা? গ্রামের সবাই রবিবার করে চার্চে যাওয়া শিখল, গোরু শুয়োর খাওয়া থেকে বড়দিনে কেক, নিউইয়ার সব শিখে গেল। আমার শাশুড়ি তবুও ঘরের মধ্যে কুলুঙ্গীতে রাখা রাধাকৃষ্ণর ছবিতে ফুল জল দিত, দেখেছি। গ্রামের দুর্গাপুজোতেও চুপিচুপি দু-চারটাকা দিয়ে ভোগ নিয়ে ঘরে এসে খাই। এত দিনের সংস্কার, কি করে ভুলি বলত মা? আমরা সরস্বতীপুজোতেও অঞ্জলি দিয়ে আসি। কালীপুজোতেও নাতি কে বাজি কিনে দি। গ্রামের মুসলমানরাও তাই করত। তবে ওদের আড়ালে ঘরে বসে আজান দিলেও ভুলেও ওরা শুয়োরের মাংস ছুঁতো না।
আচ্ছা মা, বল দিকিনি? আমরা পয়সার জন্য ধম্মো বিক্কিরি করেছি বলে কোনো স্বাধীনতা থাকবে না আমাদের ? আমার বর বলে, না, থাকবে না। কেনা গোলাম হয়ে থাকতে হবে। ওরা আমাদের টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে না? তাই।
সেই কবে আমার শ্বশুর কে মাত্র কুড়ি হাজার টাকা দিয়েছিল, সেই টাকায় এতগুলো বালবাচ্ছা, এতগুলো পেট। আমরা মুখ্যু তো কি বুঝিনা যেন।
সেদিন পল্লবীর অফিসের ছুটি। একটু নিরিবিলিতে কথা না বললে আর যেন চলছে না তার। পল্লবীকে ডাক দেয় লীলা। বৌদি আরো ক'টা হ্যাঙার এনো। দাদার শার্টগুলোয়... বলেই চেঁচিয়ে ওঠে, উজালা ফুরিয়েছে। অনেকদিন বলেছি। আর শোনো ঐ কি যেন শাড়িতে মাড় দেওয়ার ঐ পাওডারটাও এনো মনে করে।
হঠাত মায়া হয় তার লীলার জন্য।
ছাদে গিয়ে লীলার কাচা কাপড়গুলো টেনেটুনে ঠিক করতে করতে পল্লবী বলে ওঠে, কেন আসছ না গো একটু সকাল সকাল? রোজরোজ বলি তবুও...আমারো ভাল্লাগে না এসব নিয়ে একঘেয়ে কচকচানি। যখন তোমার টাকার দরকার হয় আমি দিই কিনা? সুবিধে অসুবিধেয় ছুটি? তাও দিই, তবুও...লীলা কাপড়গুলো দড়িতে মেলে, ক্লিপ দেয় পরম যত্নে। তারপরেই ছাদের ওপর বসে পড়ে রোদের মধ্যে। শীতকালে আর রোদে বসার ফুরসত কই তার? পল্লবীও ভাবে আহা, বসুক একটু। তবে লীলা আজ রোদে বসেছে সব খোলসা করে বৌদিকে বলবে বলে।
তারও রোজরোজ ভালো লাগছে না কাজে আসামাত্তর এত ঝগড়াঝাটি।
- হ্যাগো, তোমার বরের কাজটা হল শেষমেশ? পল্লবী বলে ওঠে। আর ছেলের সেই কাজটা করছে এখনো?
- বর সেই কাজটা বিক্কিরি করে দিয়েছে গো বৌদি। আমাদের পাড়ার আরেকটা লোক বহুদিন কাজ কাজ করছিল।
- কাজ বিক্কিরি?
- আমার বর বলে তুমি খাটছ, ছেলে কাজ করছে, আমি আর কি করব কাজ করে? তাই যার কাজের দরকার তাকে...
- মানে? অবাক হয় পল্লবী।
- এই দালালির ব্যবসাই তো করে আমার বর টা। খিষ্টান সাহেবদের দেওয়া শ্বশুরের মালির চাকরিটা শ্বশুর মারা যাবার পর ও কিছুদিন কাজ করেই তো বিক্কিরি করে দিল আরেকজন কে। তারপর কিছুদিন বাড়িতে মাছ, মাংস, কাপড়চোপড়, বড়দিনে ঘর রং সব হল তাই দিয়ে। মদের আড্ডায় হাঁস, মুরগি পোড়ানো হল। দিনকয়েক ফূর্তির পরেই পকেটে টান পড়তেই আবার কাজ জুটিয়ে নিল সে। ক'দিন করতে না করতেই সেই চাকরিটাও বিক্কিরি করে দিল আরেকজন কে। সেটা ভালো কাজ ছিল গো বৌদি। অনেকবার বলেছিলুম আমরা। ছেড়ো না। কাজের মধ্যে থাকো। শরীর ভালো থাকবে। কাজ না থাকলেই তো বদমায়েসি সব বুদ্ধিশুদ্ধি মাথায় ভর করে তার। সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি ছিল । আবার বেচে দিল সে।
পল্লবী বলল, এই যে বারেবারে চাকরিগুলো বিক্রি করে দেয় তাতে তার লাভ কি লীলা?
মাস মাইনে তো কম গো বৌদি। বিক্রি করলে মাস মাইনের ছ' গুণ এককালীন পাবে। কাজ না করে বসে বসে টাকা পেতে কার না ভলো লাগে বল? কুঁড়ের মরণ আমার বর টা। মাথায় যত দুষ্টু বুদ্ধি। তাও টাকাগুলো ব্যাংকে বা পোস্টাপিসে ফিক্স করে রাখলেও হত। তাও রাখবে না। আর কতদিন আমি কাজ করতে পারব বল তো বৌদি?
কথায় কথায় খেঁই হারিয়ে যায় পল্লবীর। লীলার বরের চাকরি রহস্য শুনে আপাদমস্তক জ্বলে যায় তার। আবার মায়াও হয় লীলার জন্যে। মনে মনে ভাবে নিজের ধর্ম কে বিক্রি করেছে যার বাবা সে তো এমন হতেই পারে। গোড়াতেই গলদ যে। পল্লবীর সঙ্গে সেদিনের মত কথাবার্তায় ছেদ পড়ে যায়।
আবারো ঘরে ঢুকে পল্লবীর মনে পড়ে, আচ্ছা লীলার বর চাকরি বিক্রি করছে বারেবারে তার সঙ্গে লীলার রোজ রোজ কাজে দেরী করে আসার কি সম্পর্ক হতে পারে? নিকুচি করেছে। যত্তসব। মাথায় ঢোকেনা তার। নিজের ঘরে ল্যাপটপ খুলে বসেছে পল্লবী। অফিসের কিছু কাজ বাকী আছে। আজ সারতেই হবে তাকে। তার আগে চাকরি বিক্রির এই অভিনব গল্প টা সংক্ষেপে হোয়াটস্যাপ করে দেয় অশোক কে। হাসিও পায়, কান্নাও আসে।
অশোক টাইপ করে,
- ওমা এই কদিন আগেই কাগজে পড়লে না? একটা লোক দু'জায়গায় সারাজীবন চাকরী বজায় রেখে মাইনে নিত। কতদিন বাদে ধরা পড়ে কেস খেল।
পল্লবী বলে, কি বুদ্ধি এদের! এরা পড়াশুনো করলে দেখিয়ে দিত।
এবার হোয়াটস্যাপ বন্ধ। পল্লবীকে অফিসের কাজ সারতেই হবে।
লীলার ঘরমোছার বালতিতে সিট্রোনেলার গন্ধে পল্লবীর হুঁশ হয়। টেবিলের নীচটা মুছবে লীলা। রোজ সে বাড়ি থাকেনা। দেখতেও পায়না। কি যে মোছে লীলাই জানে। সরে এসে দাঁড়ায় পল্লবী। আবারো সেই পুরনো কিসস্যা।
- কাল থেকে তবে একটু তাড়াতাড়ি এসো কিন্তু, বুঝেছ?
ঘর মুছতে মুছতে এবার লীলা বলে,
- তুমি বরং অন্য লোক দেখে নাও বৌদি। আমার এমনি হবে।
পল্লবী ভাবে, এতদিনের লোক লীলা, আজ এমন বলছে কেন? লীলা কে ছাড়া ভাবতেই পারেনা সে কিছু। ঘরের সব কাজগুলো গুছিয়ে করে রেখে যায় তো। এইজন্যেই বুঝি মা বলেন, স্যাকরার ঠুকঠাক ভালো, কামারের এক ঘায়ের চেয়ে। সে কি তবে আজ একটু বেশীই কথা বলে ফেলল লীলার সঙ্গে?
অমনি সে বলে,
- এখন পৌষমাস। এখন লোক ছাড়াই না আমরা। ওহ্! তুমি আবার এসব জানবে কি করে? হিন্দুধর্মের আগা-পাশ-তলা সর্বস্ব তো বেচে দিয়েছ জন্মের মত?
লীলা বলে
- আমায় বোল না এসব বউদি। তুমি খুব ভালো করেই জানো আমি হিন্দুর মেয়ে, এসব এখনও মানি। বিজয়ায় তোমাদের পায়ে হাত দিয়ে পেন্নাম করি।
পল্লবী বলে
- ঠিক আছে, ঠিক আছে। কাজ শেষ কর তো। আমি কাজ নিয়ে বসব এবার।
ঘর মুছতে মুছতে লীলা বলে,
- মাঘমাসেই দেখে নাও তবে লোক। যে তোমার টাইমে আসবে।
পল্লবী আর কথা বাড়ায় না। বাকী কথাগুলো লীলাই বলে চলে নিজের মনে, একনাগাড়ে। তোমাদের তো লোক নাহলে চলবে না। আমার এই কাজ টা না হলেও চলে যাবে। ইশকুলের চাকরি টা আমার পাকা।
পল্লবী শুনে চলে সেসব।
- ইশকুল?
- হ্যাঁ, আমি আমাদের গ্রামের ইশকুলে মিড ডে মিলে বহুদিন রান্না করি। সেখানে চাকরী টা বজায় রাখতে সকালবেলায় হাজিরা দিয়ে, খাতায় নাম সই করে, রান্নার জোগাড়টা দিয়ে তবেই তোমার এখানে কাজে আসি।
- তবে ইশকুলের রান্না কে করে? পল্লবী বলে
- আমার হয়ে আরেকজন গিয়ে বেলায় করে। তাকে আমি আদ্দেক মাইনে দিয়ে দিই। সেইজন্যেই তো তোমাদের বাড়ি আসতে আমার দেরী হয়ে যায় বুঝেছ? দুটো চাকরি না করলে এই আগুণ বাজারে সংসারটা কি করে চালাব বলতে পারো?
অফিসের কাজ মাথায় উঠল পল্লবীর । তার আকাশবাতাসে তখন একটাই কথা, চাকরি বিক্কিরি, ধর্ম বিক্কিরি, মিড ডে মিলের চাকরি এইসব আর কি!
হঠাত অশোকের নাম ফুটে ওঠে তার মোবাইলে। রিং টোনে সেই পছন্দের গান। অঞ্জন দত্ত মিহি সুরে বলে চলেন, চাকরী টা আমি পেয়ে গেছি, বেলা শুনছ?
ফোনটা কেটে দেয় পল্লবী। আবার চাকরী?
( যুগশংখ রবিবারের বৈঠক এ প্রকাশিত)