হঠাত ছুটি হলে আমি দেখি আলতাগোলা
আকাশ । চুঁইয়ে পড়ে ফাগের রং
টপটপ আমার গায়ে। হঠাত দ্বিতীয়
হুগলী সেতু ডাক দেয় । অস্তরাগের
আকাশ বয়ে খেয়ালী মন দেয়ালা
করে ছুটির সাথে । কু-ঝিকঝিক
শুনি আমি ।
হঠাত
ছুটি হলে ভাসাই আদরের নৌকোখানি
নীল আকাশের পুবপারে যেখানে
আছে উড়োজাহাজের ওঠানামা।
বিশাল মহানগরকে নীচে একা ফেলে
রেখে আমি পেরোই বাতাসপথ ।
উড়োজাহাজের ডানায় মেঘ সরে
সরে যায় । আমি পৌঁছে যাই ভিনরাজ্যে
। নদীনালা পেরিয়ে, পাহাড়মাটি
ছাড়িয়ে, খাদের
খতরনক বাঁক কিম্বা রোমহর্ষক
মোড় পেরিয়ে আমি যাই ছুটির সাথে
ঘর করতে । অচেনাফুলের যৌবনগন্ধ
নিতে নিতে ছুটির সাথে দুদন্ড
জিরেন হয় আমার ।
হঠাত
চোখ মেলে দেখি ব্যস্ত মহানগর
। আবার শহরের ভাঙাগড়া । আবার
ছুটি । এভাবেই চলে জীবন । এভাবেই
ছুটির সাথে ওঠাপড়া । মহানাগরিক
ভীড়ে ছুটিকে চিঠিলেখা । হঠাত
ছুটির পথ চেয়ে বসে থাকা । আবার
হঠাত ছুটির নিমন্ত্রণে বেরিয়ে
পড়া ।
No comments:
Post a Comment