ছরের শেষে ফাগুনের হাওয়ায় মুকুলিত আমগাছ দেখে মনে পড়ে
যায় বোশেখির কথা । ফুরফুরে দখিনা হাওয়াকে উড়িয়ে নিয়ে যায় চৈত্রের
অকাল বোশেখি । অপেক্ষায় থাকি ভয়ে ভয়ে গরমের দিনগুলোর । পাতাঝরা দিনের
শেষে , মেঘলা আকাশে বৃষ্টি যেন দুদন্ড জিরেন দেয় । তারপর জৈষ্ঠ্যের কালো
মেঘের ঘনঘটা দেখে আকুল অয়ে ওঠে প্রাণ । মেঘ না মৌসুমী ? সেই অপেক্ষার
অবসান হয় আষাঢ়ের বৃষ্টির বার্তায় । শ্রাবণের ধারায় ঝরে পড়ে আকাশের
খুশি, বাতাসের আনন্দ । ভরা ভাদ্রের থৈ থৈ দেখে মনে পড়ে যায় নীল আকাশের
গায়ে ভেসে চলা পেঁজা তুলোট মেঘের ভেলার কথা । আগমনীর আবাহন ফুটে ওঠে
পান্নাপুকুরে শাপলা শালুকের রঙে । আবারো অপেক্ষা কাশের বনে, পদ্মপাতায়,
ঢাকের আওয়াজে শিউলির গন্ধ নিতে নিতে । আশ্বিনের সেই অপেক্ষা ভরিয়ে দেয়
মাদুগ্গা দিন কয়েকের জন্যে । এবার বাতাসে হিম । কার্তিকের আকাশপ্রদীপ ভূত
চতুর্দশীর অন্ধকারকে মোহময় করে তোলে । দীপাবলীর অপেক্ষায় আলোর উত্সবে
মাতোয়ারা হই । হেমন্তের পাখি গান গেয়ে যায় । শীত আসছে সেই অপেক্ষায়
নেচে ওঠে মনটা । এবার অপেক্ষা পৌষপার্বণের্, নবান্নের । নতুন ধানের সোনার
রং ঝরে পড়ে সবুজ ক্ষেতে, বাংলার ঘরে ঘরে । যৌবনবতী চাষীবৌটির অপেক্ষা ।
তার সারাবছরের চাওয়া-পাওয়ার হিসেবনিকেশ মেলানোর পালা । এবার রংয়ের আগুণ
লাগবে সেই অপেক্ষা । অশোক-পলাশ-শিমূলের রং লাগবে কচিকাঁচার গায়ে,
কিশোর-কিশোরীর মনে । যদি একটুকু ছোঁয়া লাগে সেই অপেক্ষায় ।
আর আমাদের মত আদার ব্যাপারীর অপেক্ষার শেষ নেই । এক বসন্ত আসে, এক চলে যায় । আবারো শুনি কোকিলের গান । আবারো মাখি ফাগুনের রং । আবার নতুন করে পাবো বলে সেই অপেক্ষায় থেকে যাই । আবারো তার অপেক্ষায় দিনগোনার শুরু হয় ঠিক যেমন প্রতি শুক্রবার তোমার সাথে আমাদের ডেটের অপেক্ষায় সারা সপ্তাহ বসে থাকি তুমি আসবে বলে !
প্রতি অণুপল গোনার অপেক্ষা শুধু তোমার জন্যে ।
আর আমাদের মত আদার ব্যাপারীর অপেক্ষার শেষ নেই । এক বসন্ত আসে, এক চলে যায় । আবারো শুনি কোকিলের গান । আবারো মাখি ফাগুনের রং । আবার নতুন করে পাবো বলে সেই অপেক্ষায় থেকে যাই । আবারো তার অপেক্ষায় দিনগোনার শুরু হয় ঠিক যেমন প্রতি শুক্রবার তোমার সাথে আমাদের ডেটের অপেক্ষায় সারা সপ্তাহ বসে থাকি তুমি আসবে বলে !
প্রতি অণুপল গোনার অপেক্ষা শুধু তোমার জন্যে ।
No comments:
Post a Comment