আমার একচিলতে ঘর আছে যার মালিক এক ইথারকন্যা । ধরণীর ক্লান্ত সরণি বেয়ে এসে পৌঁছেছি আমি সেই ঘরে ।
আমি ছাড়াও সেইঘরে আছে আমার প্রিয় মুখ আর নিকট বৃত্ত ।
ঘরের পাশে একফালি বারান্দায় পড়ে ভোরের রোদ্দুর । মাথায় পাকা ছাদ, ঝমঝম বৃষ্টি পড়ে যার ওপর ।
ঘরের চৌকো জানলার গরাদ ধরে, বিকিনি পর্দা সরিয়ে আমি থাকি শরতের শিউলিঝরায়, গ্রীষ্মের রোদের আঁচে আর বর্ষার কালোমেঘের চোখরাঙানিতে ।
আমি ছাড়াও সেইঘরে আছে আমার প্রিয় মুখ আর নিকট বৃত্ত ।
ঘরের পাশে একফালি বারান্দায় পড়ে ভোরের রোদ্দুর । মাথায় পাকা ছাদ, ঝমঝম বৃষ্টি পড়ে যার ওপর ।
ঘরের চৌকো জানলার গরাদ ধরে, বিকিনি পর্দা সরিয়ে আমি থাকি শরতের শিউলিঝরায়, গ্রীষ্মের রোদের আঁচে আর বর্ষার কালোমেঘের চোখরাঙানিতে ।
ঘরের বাইরে লাল মোরামের বর্ডার দেওয়া টিয়াসবুজ ঘাসের ফরাসে পা দিয়ে আমি হেমন্তের শিশিরের শব্দ পাই ।
আর
বসন্তের কোকিল যখন ঘরের লাগোয়া সজনেগাছের ডালে বসে ডাক দেয়, সজনেফুলের
গন্ধে ম ম করে ঘরের আশপাশ তখন আমি ঘর করি সেই ইথারকন্যার সাথে যার নাম
কবিতা ।
আমার ঐ ঘরেই তার সাথে সারাক্ষণের ওঠাবসা, ভালোলাগা, মন্দলাগা। কবিতার সাথে সহবাস আবার সহমরণও ।
আর
ঐ ঘরেরই জন্ম নেয় আমার ও কবিতার অপত্য ভ্রূণেরা... শব্দকণা হয়ে যারা ঝরে
পড়ে টুপটাপ ঘরের মাটিতে, দেওয়ালে, আনাচেকানাচে..... সেই আমার অর্ধেক
আকাশ, একভুবন আলো করা ঘরে....
ভাগ্যি কবিতা ছিল সাথে । পেলাম মুক্তির ঠিকানা, তেপান্তর পেরোণো সেই আলোর মুক্তি ।
আর ভাগ্যি ছিলি এই পোড়া ঘর আমার! বসত করেও সুখ পেলাম আমরা দুটিতে ।
No comments:
Post a Comment